তৃণমূল দলটাই উঠে যাবে - শ্রীরামপুরে প্রতিবাদ মিছিলে ঘোষনা বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর

5th July 2020 6:22 pm হুগলী
তৃণমূল দলটাই উঠে যাবে - শ্রীরামপুরে প্রতিবাদ মিছিলে ঘোষনা বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর


নিজস্ব সংবাদদাতা ( শ্রীরামপুর ) : পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ও  আমফানে দুর্নীতিবাজ তৃনমূল নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণ সহ কয়েক দফা দাবিতে কংগ্রেস ও সিপিএম এর যৌথ মিছিল সংগঠিত হয় শ্রীরামপুরে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, ফরোয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সভাপতি নরেন চট্টোপাধ্যায় সহ অনান্য নেতৃবৃন্দ। শ্রীরামপুর এর নওগাঁ মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে  জিটিরোড বরাবর বৈদ্যবাটিতে শেষ হয় l আব্দুল মান্নান জানান, একদিকে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি অন্যদিকে তৃণমূল নেতারা আমফানের টাকা নিয়ে যে ভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের বঞ্চিত করেছে তারই প্রতিবাদে তাদের এই আন্দোলন। সুজন চক্রবর্তী বলেন, আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা তৃনমূলের নেতারা চুরি করছে । তাতে তৃণমূল দল যে শাস্তি দিচ্ছে তার কোন অর্থ হয় না। আজকে যাদের লোকদেখানো শোকজ করছে, আগামীদিনে তারা আবার ফিরে আসবে এই তৃনমূল দলে। তৃণমূল দলটাই উঠে যাবে বলে মন্তব‍্য করেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।